স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় লেখক-ব্লগারদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা বইমেলা।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘গতবছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বইমেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ এর আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি, ব্লগার বা লেখক বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করেন, তবে বইমেলায় আমাদের কন্ট্রোল রুমে এসে জানাতে হবে। আমরা তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব।’
মেলার দুই প্রাঙ্গণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমিতে দুই শতাধিক সিসি ক্যামেরা ও ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “অধিকতর নিরাপত্তার লক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেন্দ্রিক ৭ ‘ক্রস ফুট প্যাট্রোল টিম’ ও মেলার বাইরে শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত ৬টি ‘ক্রস ফুট প্যাট্রোল টিম’ থাকবে। তা ছাড়া ২৪ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ফোর্সসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।”
বইমেলা প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায় বোম্ব ডিজপোজাল টিম এবং ডগ স্কোয়াডও থাকবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
ব্লগার হত্যায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘অপরাধমুক্ত সমাজ কল্পনা করা যায় না। তবে আমাদের এখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালো। ৯৮ শতাংশ ঘটনার ক্ষেত্রেই আমাদের সফলতা রয়েছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৯৬-৯৭ শতাংশ ঘটনা ঘটার আগেই আমরা রোধ করেছি, যা আপনারা জানেন না।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে একটি চক্র। ওই চক্রকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হাসান প্রমুখ।